- বহিঃপরজীবী দ্বারা আক্রান্ত প্রাণির সংস্পর্শে সুস্থ প্রাণিকে রাখা যাবে না।
- প্রাণির বাসস্থান সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
- প্রাণিকে বন্য প্রাণির সংস্পর্শ থেকে মুক্ত রাখতে হবে।
- প্রাণিকে নিয়মিত গোছল করাতে হবে।
- গবাদি পশুর থাকার জায়গা সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
- গোবর ফেলার জায়গা বা ডাম্পিং পিট খামার থেকে অনেক দূরে হতে হবে।
- খামারের ময়লা আবর্জনা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলতে হবে।
- খামারের আশপাশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
- আশেপাশে পচা ডোবা বা নর্দমা থাকলে মাটি দিয়ে ভরে ফেলতে হবে। কারণ এ জায়গা থেকে প্রচুর মাছি উৎপন্ন হয়।
- গবাদি পশুকে রাতের বেলায় মশারির নিচে রাখতে হবে যাতে মাছি আক্রমন না করতে পারে।
- খামারে পর্যাপ্ত আলো ও বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা করতে হবে।
- প্রাণির ক্ষতস্থানের যত্ন নিতে হবে। ক্ষতস্থান জীবাণুনাশক দ্বারা ড্রেসিং করতে হবে।
- ক্ষুরা রোগে আক্রান্ত গরু মহিষের পায়ে মায়াসিস আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই পূর্ব থেকেই এর প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহণকল্পে জীবাণুনাশক বা ন্যাপথলিন ব্যবহার করতে হবে।
- আইবারমেকটিন ইনজেকশন চামড়ার নিচে প্রয়োগ করতে হবে।
- প্রাণিকে নিয়মিত গ্রুমিং করানো।
- গবাদি পশুর আক্রান্ত স্থানে এন্টিসেপ্টিক ব্যবহার করা।
- খামারে মাছির প্রবেশ রোধ করতে হবে।
গবাদিপশুর পরজীবী দমনে নানা প্রক্রিয়ায় কীটনাশক ব্যবহার হয়ে থাকে। যথা-
- ক. পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করে,
- খ. পানিতে মিশিয়ে ভেট ডিপ বা গোসল করিয়ে এবং
- গ. ফুলা বা ছাইয়ের সাথে মিশিয়ে শরীরে পাউডারের মতো ঘষে (ডাস্টিং)। সকল প্রকার কীটনাশকই মারাত্মক বিষ। তাই অতি সাবধানে মাত্রা ও নির্দেশিকা মোতাবেক ওষুধ মিশাতে হয়। নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত প্রয়োগের পর পশুকে ভালোভাবে গোসল করিয়ে শরীরের কীটনাশক পরিষ্কার করে দিতে হয়।