0 টি ভোট

বহিঃপরজীব দ্বারা সৃষ্ট রোগ নিয়ন্ত্রণে কিভাবে প্রতিরোধ করবে?

1 উত্তর

0 টি ভোট
  1. বহিঃপরজীবী দ্বারা আক্রান্ত প্রাণির সংস্পর্শে সুস্থ প্রাণিকে রাখা যাবে না।
  2. প্রাণির বাসস্থান সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
  3. প্রাণিকে বন্য প্রাণির সংস্পর্শ থেকে মুক্ত রাখতে হবে।
  4. প্রাণিকে নিয়মিত গোছল করাতে হবে।
  5. গবাদি পশুর থাকার জায়গা সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
  6. গোবর ফেলার জায়গা বা ডাম্পিং পিট খামার থেকে অনেক দূরে হতে হবে।
  7. খামারের ময়লা আবর্জনা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলতে হবে।
  8. খামারের আশপাশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
  9. আশেপাশে পচা ডোবা বা নর্দমা থাকলে মাটি দিয়ে ভরে ফেলতে হবে। কারণ এ জায়গা থেকে প্রচুর মাছি উৎপন্ন হয়।
  10. গবাদি পশুকে রাতের বেলায় মশারির নিচে রাখতে হবে যাতে মাছি আক্রমন না করতে পারে।
  11. খামারে পর্যাপ্ত আলো ও বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা করতে হবে।
  12. প্রাণির ক্ষতস্থানের যত্ন নিতে হবে। ক্ষতস্থান জীবাণুনাশক দ্বারা ড্রেসিং করতে হবে।
  13. ক্ষুরা রোগে আক্রান্ত গরু মহিষের পায়ে মায়াসিস আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই পূর্ব থেকেই এর প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহণকল্পে জীবাণুনাশক বা ন্যাপথলিন ব্যবহার করতে হবে।
  14. আইবারমেকটিন ইনজেকশন চামড়ার নিচে প্রয়োগ করতে হবে।
  15. প্রাণিকে নিয়মিত গ্রুমিং করানো।
  16. গবাদি পশুর আক্রান্ত স্থানে এন্টিসেপ্টিক ব্যবহার করা।
  17. খামারে মাছির প্রবেশ রোধ করতে হবে।
গবাদিপশুর পরজীবী দমনে নানা প্রক্রিয়ায় কীটনাশক ব্যবহার হয়ে থাকে। যথা-
  • ক. পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করে,
  • খ. পানিতে মিশিয়ে ভেট ডিপ বা গোসল করিয়ে এবং
  • গ. ফুলা বা ছাইয়ের সাথে মিশিয়ে শরীরে পাউডারের মতো ঘষে (ডাস্টিং)। সকল প্রকার কীটনাশকই মারাত্মক বিষ। তাই অতি সাবধানে মাত্রা ও নির্দেশিকা মোতাবেক ওষুধ মিশাতে হয়। নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত প্রয়োগের পর পশুকে ভালোভাবে গোসল করিয়ে শরীরের কীটনাশক পরিষ্কার করে দিতে হয়।

96 টি প্রশ্ন

95 টি উত্তর

0 টি মন্তব্য

2 জন সদস্য

Questionbd❓ এ সুস্বাগতম, যেখানে আপনি প্রশ্ন করতে পারবেন এবং গোষ্ঠীর অন্যান্য সদস্যদের নিকট থেকে উত্তর পেতে পারবেন।
...