পড়াশোনা এ সাম্প্রতিক প্রশ্ন এবং উত্তরসমূহ

0 টি ভোট
ভূমিষ্কাস রোধে গৃহীত পূর্বপ্রস্তুতিমূলক কার্যকর পদক্ষেপ লিখ?

ভূমিধ্বস রোধে গৃহিত পূর্বপ্রস্তুতিমূলক পদক্ষেপসমূহ নিম্নে আলোচনা করা হলো-

  • ১) ভূমিধ্বাসপ্রবণ এলাকায় সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে জনসচেতনতা সৃষ্টি করা।
  • ২) সম্ভব হলে পাহাড়ি এলাকায় মানব বসতি ও আর্থসামাজিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।
  • ৩) পাহাড়ধ্বসে আগাম সংকেত প্রদান এবং আগাম কার্যক্রমে আত্মবিভাগীয় সমন্বয় জোরদার করা।
  • ৪) পাহাড়ি এলাকায় ভূমি ব্যবহার পরিকল্পনা তৈরি করা, যার মাধ্যমে যেখানে যে ধরনের কাঠামো প্রয়োজন হবে সেখানে সেরূপ কাঠামো নির্মান করা।
  • ৫) পাহাড়ি এলাকায় পরিকল্পিত নিবিড় বনায়ন প্রতিষ্ঠা।
  • ৬) উদ্ধার কাজে অংশগ্রহনকারীদের চিহ্নিত করে প্রযোজনীয় প্রশিক্ষণ ও দায়িত্ব প্রদান করা এবং প্রয়োজনীয় সামগ্রী সংগ্রাহে রাখা।
  • ৭) আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসমূহকে দায়িত্ব ও আইনানুগ অধিকার দিতে হবে যাতে তারা তাৎক্ষণিকভাবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে।
0 টি ভোট
ফার্মের প্রানির বৈশিষ্ট্য বলতে কি বুঝায়?

ফার্ম প্রাণির বৈশিষ্ট্য বলতে গবাদি পশু, হাঁস-মুরগি বা অন্যান্য খামারের প্রাণীর নির্দিষ্ট জিনগত এবং শারীরিক গুণাবলীকে বোঝায়, যা তাদের উৎপাদনশীলতা, প্রজনন ক্ষমতা, অভিযোজন ক্ষমতা এবং স্বাস্থ্যের বৈশিষ্ট্যকে বুঝায়। এই বৈশিষ্ট্যগুলো বংশগত এবং পরিবেশগত উভয় কারণ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় এবং প্রাণীর কর্মক্ষমতা ও ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

উদাহরণ-

  • উৎপাদনশীল বৈশিষ্ট- 

দুধ উৎপাদন, মাংসের জন্য।

  • প্রজনন বৈশিষ্ট্য- 

বাচ্চা দেওয়ার হার, বয়ঃপ্রাপ্তির সময়।

  • অভিযোজন বৈশিষ্ট্য-

তাপ সহনশীলতা এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা।

0 টি ভোট
উপসহকারী পদের জন্য পরীক্ষার প্রস্তুতি কিভাবে নিবো?

উপজেলা বা জেলা পর্যায়ে উপসহকারী কর্মকর্তা নিয়োগের পরীক্ষার প্রস্তুতির পড়াশোনা।

উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা নিয়োগ পরীক্ষার প্রস্তুতি -

প্রিলির জন্য বই-

১. উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা নিয়োগ বই

২. সকল প্রাইমারী প্রশ্ন- বাদ যাবে- ম্যাথ, ইংরেজি লিখিত, কম্পিউটার 

৩. বিসিএস এর প্রশ্ন- বাংলা, সাহিত্য, ইংরেজি ব্যাকরণ।

প্রোফেসারের জব সলেশন।

লিখিত এর জন্য বই- পূর্বের মতোই তবে এগুলা ৪০+৪০+৪০+৮০ নম্বরের জন্য পড়তে হবে।

সাধারণ জ্ঞানের বই পড়তে হবে- বাংলা, আন্তর্জাতিক ও খেলাধুলা বিষয়ক।

ভাইভা এর জন্য -

প্রথমে স্যারকে সালাম দিয়ে উনার থেকে অনুমতি নিয়ে ভাইভা বোর্ডে প্রবেশ করবেন।এরপর শান্তশিষ্টভাবে রুমে ঢুকে স্যার বসতে বললে চেয়ারে ধীরে সুস্থে বসবেন।তখন স্যার আপনাকে নিম্নোক্ত বিষয়গুলো নিয়ে প্রশ্ন করবে।

নিজের সম্পর্কে জানতে হবে- নাম, নামের অর্থ, নাম দিয়ে বিখ্যাত বা কুখ্যাত ব্যক্তি, তাদের অবদান, বাবা-মা এর নাম, সেইম।

নিজের সম্পর্কে বিস্তারিত বলতে হবে, নিজের ভালো ও খারাপ গুণ বলেন, কেন চাকরি করবেন? হালাল টাকার জন্য, 

নিজ জেলার নাম- নামকরণের ইতিহাস, উপজেলা ও নামকরণ এর ইতিহাস, ইউনিয়ন ও গ্রাম সেইম।

আপনার এলাকার বিখ্যাত কি, বিখ্যাত খাবার, বিখ্যাত ও কুখ্যাত ব্যক্তি, মুক্তিযুদ্ধের সময় এলাকা কয় নম্বর সেক্টরের ছিল, সেক্টর কমান্ডার কে ছিলেন, 

নিজের এক্সট্রা কারিকুলাম একটিভিটিস- ক্রিকেট বা ফুটবল নিয়ে বিস্তারিত, গান পারেন নাকি? একটা দেশাত্মবোধক গান (আমি বাংলায় গান গাই বা ও আমার দেশেট মাটি) , নজরুল ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সঙ্গীত শিখতে হবে, এলাকার বিখ্যাত কোনো গান।যেমন- রংপুরের ভাওয়াইয়া গান।

বাংলাদেশের উন্নয়ন নিয়ে জানতে হবে বিশেষ করে সাম্প্রতিক সময়ের উন্নয়ন নিয়ে।২৪শের আন্দোলনের সময়, কয়জন প্রধান সম্মনায়ক ও নাম।সাবজেক্টিভ পড়া, যেমন- কৃষি উপসহকারী কর্মকর্তার জন্য, লাইভস্টক বা ইন্জিনিয়ারিং বিষয়ক।

সাধারণ জ্ঞান নিয়ে টুকিটাকি পড়তে হবে।যেমন- আন্তর্জাতিক বিষয়গুলা, বিভিন্ন দেশের রাজধানী, মুদ্রা, দেশের সাম্প্রতিক বিষয়াবলি, ক্রিকেট ও ফুটবল নিয়ে জানতে হবে।

আপনার টাইয়ের গিটুর নাম কি? নট (Knot)। 

কোনো কিছু খেতে দিলে, খাওয়ার সময় শব্দ যেন না হয় সেদিকে খেয়াল রাখা এবং পানি পান করার সময় ধীরে ধীরে পান করা।আর খাবারের জন্য ভাইভা বোর্ডের স্যারকে ধন্যবাদ দেওয়া।মেয়েদের ক্ষেত্রে উঁচু হিল ও ম্যাক-আপ বেশি না করা।

২৪শে গণঅভ্যুত্থানের বইয়ের নাম জানতে হবে।

0 টি ভোট
পশু বাছাই এর নির্ণায়ক বা মানদণ্ড কি কি?

১. বংশগতি-

পশুর পূর্বপুরুষের উৎপাদনশীলতা

উচ্চ উৎপাদনশীল বংশের পশু নির্বাচন।

২. শারীরিক গঠন-

দুধের জন্য- উন্নত স্তন, সঠিক গঠন, এবং শক্তিশালী শারীরিক কাঠামো।

মাংসের জন্য- পেশীবহুল শরীর, ভালো অঙ্গবিন্যাস, এবং মাংসের সঠিক বিন্যাস।

পশমের জন্য- ঘন এবং উচ্চ মানের পশম।

৩. স্বাস্থ্য (Health)-

পশু রোগমুক্ত হতে হবে।

চোখ, নাক, মুখ পরিষ্কার থাকতে হবে।

ত্বক ও পশম সুস্থ থাকতে হবে।

পশুর চলন স্বাভাবিক হতে হবে।

8. বয়স (Age)-

প্রজনন এবং উৎপাদনের জন্য সঠিক বয়সের পশু নির্বাচন করা হয়।

সাধারণত, অল্প বয়স্ক পশু নির্বাচন করা হয় যাতে তারা দীর্ঘকাল উৎপাদন দিতে পারে।

৫. প্রজনন ইতিহাস (Reproductive History)-

গাভীর ক্ষেত্রে, পূর্বের প্রসবের সংখ্যা এবং কোনো প্রজনন সমস্যা ছিল কিনা তা দেখা হয়।

ষাঁড়ের ক্ষেত্রে, শুক্রাণুর গুণমান এবং প্রজনন ক্ষমতা পরীক্ষা করা হয়।

৬. উৎপাদন রেকর্ড (Production Records)-

দুধ, মাংস, ডিম, বা পশমের পরিমাণ এবং গুণমান পরিমাপ করা হয়।

পূর্বের উৎপাদনের রেকর্ড বিশ্লেষণ করে পশু নির্বাচন করা হয়।

৭. অভিযোজন ক্ষমতা (Adaptability)-

পশুটি স্থানীয় পরিবেশ এবং জলবায়ুর সাথে খাপ খাইয়ে নিতে সক্ষম হতে হবে।

৮. আচরণ (Temperament)-

শান্ত এবং সহজে নিয়ন্ত্রণযোগ্য পশু নির্বাচন করা হয়।

0 টি ভোট
পশু বাছাই এর উদ্দেশ্য এবং ক্রাইটেরিয়া কি?

বাছাইয়ের উদ্দেশ্য-

  • উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি- বেশি দুধ, মাংস, ডিম, বা পশম উৎপাদনের জন্য পশু বাছাই করা হয়।
  • স্বাস্থ্য ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা- রোগমুক্ত এবং শক্তিশালী পশু নির্বাচন করা হয়।
  • প্রজনন ক্ষমতা- ভালো প্রজনন ক্ষমতার অধিকারী পশু বাছাই করা হয়, যা বংশবৃদ্ধিতে সহায়ক।
  • শারীরিক গঠন ও বৈশিষ্ট্য- একটি নির্দিষ্ট জাতের বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী পশু নির্বাচন করা হয়।
  • অর্থনৈতিক উন্নতি-
  • খামার ব্য পশুপালনের মাধ্যমে লাভজনকতা বৃদ্ধি করা।
0 টি ভোট
বাছাই কাকে বলে?

পশুকে বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যের উপর ভিত্তি করে নির্বাচন করা করাকে বাছাই বলে।

0 টি ভোট
হাজী শরীয়ত উল্লাহর ফরায়েজি আন্দোলনের প্রভাব বর্ণনা কর?

ভূমিকা- 

১৭৫৭ সাল পর্যন্ত মুসলমানগণই ভারতবর্ষ শাসন করে আসছিল। এদিক দিয়ে মুসলমানগণ ছিল এক ঐতিহ্যের দাবিদার। কিন্তু ১৭৫৭ সালে পলাশির প্রান্তরে পরাজয়ের ফলে ইংরেজরা এদেশ দখল করে নেয়। তাই ইংরেজরা মুসলমান সংস্কৃতি বিরোধী আগ্রাসন চালায়। আর এ আগ্রাসন ও বিপর্যয়ের হাত হতে রক্ষা পাওয়ার জন্য হাজী শরীয়ত উল্লাহ দৃঢ়সংকল্প নিয়ে ফরায়েজি আন্দোলন গড়ে তোলেন। মূলত ধর্মীয় উদ্দেশ্যে এ আন্দোলন পরিচালিত হলেও পরে তা রাজনৈতিক আন্দোলনে রূপ নেয়। আর তার এ আন্দোলনের ফলেই বাংলার মুসলমান শোষণ হতে মুক্তি পায়।

সমকালীন মুসলিম সমাজের ওপর ফরায়েজি আন্দোলনের প্রভাব-

নিম্নে সমকালীন মুসলিম সমাজের ওপর ফরায়েজি আন্দোলনের প্রভাব আলোচনা করা হলো-

১. হতাশাগ্রস্ত মুসলমানদের বিশ্বাস ও চেতনার জাগরণ-

ধর্মীয়, সামাজিক ও রাজনৈতিক দিক থেকে ফরায়েজি আন্দোলন মুসলমানদের জন্য এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করে যা তাদেরকে বিভিন্নভাবে প্রভাবিত করেছে। এ আন্দোলনের মূল উদ্দেশ্য হতাশাগ্রস্ত মুসলমানদের মধ্যে ধর্মীয় অনভূতি ও বিশ্বাস জাগ্রত করে তাদের সামাজিক ও রাজনৈতিক অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা। ফরায়েজি আন্দোলনের প্রভাব সম্পর্কে মন্তব্য করতে ইংরেজ লেখক ওয়াইজ বলেন, "ফরায়েজি আন্দোলন বাংলার উদাসীন মুসলমানদের উৎসাহিত ও অনুপ্রাণিত করে তাদের অন্তর্নিহিত বিশ্বাস এবং চেতনাকে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়।" তৎকালীন ব্রিটিশ শাসিত ভারতীয় উপমহাদেশে নীলকর, জমিদার, আমলা ও শাসকগণের অত্যাচার থেকে মুসলমানদেরকে রক্ষা করা, শ্রেণি বৈষম্য বিলোপ, কবর ও পির পূজা বন্ধকরণ এবং সামাজিক ও রাজনৈতিক অধিকার আদায়ের মুসলমানদেরকে আত্মসচেতন এবং উদ্বুদ্ধকরণের ক্ষেত্রে ফরায়েজি আন্দোলন গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম।

২. আদর্শ সমাজ গঠন-

মানুষ সামাজিক জীব।সমাজে মানুষ তার অধিকার সুযোগ ও স্বাধীনতা' ভোগ করবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু ব্রিটিশ শাসন আমলে বাঙালি মুসলমানগণ সে অধিকার ও সুযোগ-সুবিধা থেকে সম্পূর্ণরূপে বঞ্চিত হয়। এ প্রেক্ষাপটে হাজী শরীয়ত উল্লাহ মুসলমানদের আর্থসামাজিক অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য ফরায়েজি আন্দোলনের ডাক দেন এবং তার এ আন্দোলন মুসলমানদের হৃত সামাজিক অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা বিস্তার করতে থাকে। তখন এর বিরুদ্ধে হাজী শরীয়ত উল্লাহ কঠিন অবস্থান নেন এবং মুসলমানদের এ আন্দোলনের পক্ষে আনয়ন করে সুষ্ঠু ন্যায়সঙ্গত সামাজিক অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠায় সচেষ্ট হন।

৩. ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের সূচনা-

 হাজী শরীয়ত উল্লাহর মৃত্যুর পর তাঁর সুযোগ্য পুত্র মোহাম্মদ মহসীন ওরফে দুদু মিয়া এ আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন। ধর্মীয় অনভূতিকে জাগ্রত করা এবং মুসলমানদের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে এ আন্দোলন রাজনৈতিক রূপ লাভ করে। দুদু মিয়ার অক্লান্ত প্রচেষ্টায় আন্দোলনটি শক্তিশালী ও জনপ্রিয় হয়ে উঠে। তিনি পূর্ববঙ্গকে কয়েকটি অঞ্চলে বিভক্ত করে প্রত্যেক অঞ্চলের জন্য একজন খলিফা বা প্রতিনিধি নিয়োগ করেন। তাঁর প্রচেষ্টায় ফরিদপুর, বরিশাল, ময়মনসিংহ ও পাবনা জেলা ছাড়াও দূরবর্তী আসাম প্রদেশ বিশেষ করে সিলেট জেলা ও পশ্চিমবঙ্গ পর্যন্ত আন্দোলনের প্রসার ঘটাতে সক্ষম হয়েছিলেন। তিনি বিভিন্ন অত্যাচার হতে মুসলমান কৃষক-প্রজাদের রক্ষা করাই ছিল আন্দোলনের প্রভাব।

৪. কর ব্যবস্থার বিলোপ সাধনের চেষ্টা-

দুদু মিয়া জমিদার কর্তৃক প্রজাদের উপর কর ধার্যের ঘোর বিরোধী ছিলেন। তিনি বিশ্বাস করতেন যে, সর্বশক্তিমান আল্লাহই ভূমির মালিক। কোনো মানুষেরই ইহা উত্তরাধিকার সূত্রে দখল করে এর উপর কর ধার্য করার অধিকার নেই। এর ফলে জমিদারগণ তার ঘোর বিরোধী হয়ে উঠে এবং এর বিরুদ্ধে কতকগুলো মিথ্যা মামলা তারা দায়ের করে। তা সত্ত্বেও তিনি আন্দোলন চালিয়ে যেতে পারেন। ফলশ্রুতিতে ১৮৩৬ খ্রিস্টাব্দে দুদু মিয়াকে আলীপুর কারাগারে নিক্ষেপ করা হয়। এর ফলে আন্দোলন অনেকটা দুর্বল হয়ে যায়।

৫. সাম্প্রদায়িক বিরোধ সৃষ্টি-

 ফরায়েজি আন্দোলন ধর্ম সংস্কারমূলক হলেও এটি অন্য ধর্মের বিরোধিতা করেনি। এ আন্দোলন পরবর্তীতে অনেকটা সাম্প্রদায়িকতার দিকে ঠেলে দেয়। কারণ আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী রায়তদের অধিকাংশ ছিল মুসলমান এবং জমিদারগণ ছিল হিন্দু। ফলে হিন্দু জমিদার ও মুসলমানদের মধ্যে সাম্প্রদায়িক বিরোধের রূপ নেয়। হিন্দু জমিদারগণকে ব্রিটিশ সরকার সমর্থন করলেও শ্রেণি দ্বন্দ্ব চরম আকার ধারণ করে। এর ফলশ্রুতিতে শ্রেণি স্বার্থের দ্বন্দ্ব এক সময় সামাজিক ও রাজনৈতিক আন্দোলনের চরিত্র লাভ করে।

৬. কৃষক ও শ্রমজীবী মানুষকে প্রতিবাদী করে তোলে-

 হাজী শরীয়ত উল্লাহর বলিষ্ঠ নেতৃত্ব অসাধারণ ব্যক্তিত্ব, অসীম সাহস এবং কৃষক, শ্রমিক, মজুরদের সমবেত প্রচেষ্টায় স্বল্প সময়ের মধ্যে ফরায়েজি আন্দোলন সামাজিক, রাজনৈতিক এবং ধর্মীয় সংস্কার আন্দোলনের রূপ পরিগ্রহ করে সমগ্র বাংলায় ছড়িয়ে পড়ে। এ আন্দোলনের ফলে বাংলার কৃষক, শ্রমিক, তাঁতী ও কারিগরদের জীবনে জাগরণের নতুন স্পব্দন সৃষ্টি হয়। মুসলমানরা জমিদার, আমলা ও নীলকরদের অত্যাচার ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে শেখে, যা তাদেরকে অধঃপতন থেকে উদ্ধার পেতে আত্মপ্রত্যয়ী হতে সাহায্য করে। শোষিত জনগণকে অধিকার সচেতন করে তোলাই ফরায়েজি আন্দোলনের পরম কৃতিত্ব। জেমস টেলরের বর্ণনা অনুযায়ী, ১৮৪০ সাল নাগাদ ঢাকা শহরের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ লোক হাজী শরীয়ত উল্লাহর মতবাদ স্বেচ্ছায় গ্রহণ করে।

৭. সচেতনতা সৃষ্টি ও আত্মপ্রত্যয়ী করে তোলা-

ফরায়েজি আন্দোলনের মাধ্যমেই মুসলমানদেরকে সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে সচেতন করে তোলা হয়। তাই সার্বিক দিক থেকে বলা যায় যে, তৎকালীন সময়ে ফরায়েজি আন্দোলনের ব্যাপক ও বহুমুখী গুরুত্ব ছিল। ঐতিহাসিক ওয়াইজ-এর মতে, "ফরায়েজি আন্দোলন বাংলার মানুষদের উৎসাহিত ও আত্মপ্রত্যয়ী করার মাধ্যমে তাদের অন্তর্নিহিত বিশ্বাস ও চেতনাকে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়।"

উপসংহার-

পরিশেষে বলা যায় যে, হাজী শরীয়ত উল্লাহর বলিষ্ঠ নেতৃত্ব, অসাধারণ ব্যক্তিত্ব, অসীম সাহস এবং কৃষক শ্রমিক মজুরদের প্রচেষ্টায় ফরায়েজি আন্দোলন রাজনৈতিক ও ধর্মীয় আন্দোলনের রূপ পরিগ্রহ করে সমগ্র বাংলায় ছড়িয়ে পড়ে। জমিদার, নীলকর, মহাজন ও আমলাদের অমানুষিক নির্যাতন ও অত্যাচার এবং ধর্মীয় কুসংস্কার ও গোঁড়ামি থেকে মুসলমানদের রক্ষার জন্য এ আন্দোলনের কার্যক্রম পরিচালিত হয় এবং সমকালীন মুসলিম সমাজ সংস্কারে এর প্রভাব খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও অর্থবহ ছিল।

0 টি ভোট
গাউসের সূত্রটি বিবৃত কর?
0 টি উত্তর
0 টি ভোট
তড়িৎ দ্বিমেরু ভ্রামক কাকে বলে?
0 টি উত্তর
0 টি ভোট
রুদ্ধতাপীয় প্রক্রিয়া কি?
  • রুদ্ধতাপীয় প্রক্রিয়া কাকে বলে? 
0 টি উত্তর
আরও দেখতে, এই বিভাগের প্রশ্নগুচ্ছ দেখতে ক্লিক করুন।

96 টি প্রশ্ন

95 টি উত্তর

0 টি মন্তব্য

2 জন সদস্য

Questionbd❓ এ সুস্বাগতম, যেখানে আপনি প্রশ্ন করতে পারবেন এবং গোষ্ঠীর অন্যান্য সদস্যদের নিকট থেকে উত্তর পেতে পারবেন।
...