- দুধের ভেজাল নির্ণয়ের পদ্ধতি
জনসাধারণের দ্বারা খাওয়া দুগ্ধজাত পণ্যের নিরাপত্তা এবং গুণমান নিশ্চিত করার জন্য দুধে ভেজাল সনাক্ত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দুধে বিভিন্ন ধরনের ভেজাল সনাক্ত করতে বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। এখানে কিছু সাধারণ সনাক্তকরণ পদ্ধতি রয়েছে-
দুধের ভেজাল চেনার উপায় -
দুধে হাইড্রোজেন পারক্সাইড (H2O2) যোগ করলে ইউরিয়া বা অন্যান্য নাইট্রোজেনাস যৌগের উপস্থিতি নির্দেশ করতে পারে। একইভাবে, মিথিলিন ব্লু যোগ করলে ফরমালিনের উপস্থিতি শনাক্ত করা যায়, যা দুধের শেলফ লাইফ বাড়ানোর জন্য ব্যবহৃত একটি সাধারণ সংরক্ষণকারী।
বাণিজ্যিকভাবে উপলব্ধ টেস্ট কিটগুলিতে রাসায়নিক বিকারক বা টেস্ট স্ট্রিপ থাকে যা দুধে নির্দিষ্ট ভেজাল সনাক্ত করতে পারে। এই কিটগুলি ব্যবহার করা সহজ এবং দ্রুত ফলাফল প্রদান করে।
প্রশিক্ষিত প্যানেলিস্ট বা ভোক্তাদের দ্বারা সংবেদনশীল মূল্যায়ন দুধের স্বাদ, গন্ধ, রঙ বা টেক্সচারের পরিবর্তন সনাক্ত করতে ব্যবহার করা যেতে পারে, যা ভেজাল বা নষ্ট হওয়ার ইঙ্গিত দিতে পারে।
চোখে দেখে দুধের পরীক্ষা করা। এর মাধ্যমে দুধের রং, গন্ধ কিংবা দুধে কোন অবাঞ্ছিত বস্তু আছে কিনা তা নির্ণয় করা যায়।
লেক্টোমিটার রিডিং এর মাধ্যমে দুধে যদি কোন ভেজাল দ্রব্য মেশানো থাকে তাহলে তা নির্নয় করা যায়। এছাড়া দুধ চর্বি মুক্ত করা কি না তাও এ টেস্টের মাধ্যমে বোঝা যায়।
দুধে কি পরিমাণ ব্যাক্টেরিয়া আছে তা এ পরীক্ষার মাধ্যমে নির্ণয় করা যায়।
বাটার ফ্যাট টেস্ট দ্বারা দুধের চর্বি নির্ণয় করা হয়। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ এর উপর ভিত্তি করে দুধের মূল্য পরিশোধ করা হয়। যে দুধের ফ্যাট যত বেশি তার মূল্য তত বেশি।
96 টি প্রশ্ন
95 টি উত্তর
0 টি মন্তব্য
2 জন সদস্য