সাধারণ এ সাম্প্রতিক প্রশ্ন এবং উত্তরসমূহ

0 টি ভোট
বাংলাদেশের ফার্মের প্রাণির গুরুত্ব কি?

অর্থনৈতিক উৎপাদনশীলতা, খাদ্য নিরাপত্তা এবং কৃষি স্থায়িত্ব ইত্যাদি বিভিন্ন কারণে বাংলাদেশে প্রাণিসম্পদের বৈশিষ্ট্যগুলি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

১. অর্থনৈতিক উৎপাদনশীলতা-

গবাদি পশুর বৈশিষ্ট্য যেমন বৃদ্ধির হার, দুধ উৎপাদন, মাংসের গুণমান এবং প্রজনন দক্ষতা সরাসরি পশুপালন করার মুনাফাকে প্রভাবিত করে। উন্নত বৈশিষ্ট্য উচ্চ ফলন এবং উন্নত মানের পণ্য তৈরী করে যা কৃষকদের আয় এবং সামগ্রিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বৃদ্ধি করে।

২. খাদ্য নিরাপত্তা-

দুধ, মাংস এবং ডিমের পরিমাণ এবং গুণমানকে প্রভাবিত করে এমন বৈশিষ্ট্যগুলি একটি স্থিতিশীল এবং পর্যাপ্ত খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার খাদ্য চাহিদা মেটাতে উচ্চ ফলনশীল এবং রোগ প্রতিরোধী পশুসম্পদ উল্লেখযোগ্যভাবে অবদান রাখতে পারে।

৩. জলবায়ুর সাথে অভিযোজন-

 বাংলাদেশের বৈচিত্র্যময় এবং প্রায়শই চ্যালেঞ্জিং জলবায়ু পরিস্থিতিতে গবাদি পশুর স্বাস্থ্য এবং উৎপাদনশীলতা বজায় রাখার জন্য তাপ সহনশীলতা এবং রোগ প্রতিরোধের মতো স্থানীয় পরিবেশের সাথে সহনশীল বৈশিষ্ট্যগুলি পরিহার্য এবং গুরুত্বপূর্ণ।

৪. জেনেটিক উন্নতি-

 বংশগত বৈশিষ্ট্যের জন্য বাছাই (selective) প্রজনন উন্নত পশুসম্পদ প্রজাতির দিকে পরিচালিত করে যেগুলি রও বেশি উৎপাদনশীল, শক্ত এবং স্থানীয় চাষ পদ্ধতির জন্য উপযুক্ত। এটি আমদানি করা জাতের উপর ভরতা কমাতে পারে এবং স্থানীয় গবাদি পশু পালনের স্থায়িত্ব বাড়াতে পারে।

৫. টেকসই কৃষি-

 টেকসই গবাদি পশু চাষের পদ্ধতির প্রচারের জন্য দক্ষ ফিড রূপান্তর এবং পরিবেশগত প্রভাব হ্রাসে (যেমন, কম ঘেন নির্গমন) অবদান রাখে এমন বৈশিষ্ট্যগুলি গুরুত্বপূর্ণ। এটি পরিবেশ সংরক্ষণের সাথে কৃষি উৎপাদনশীলতার ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করে।

৬. সাংস্কৃতিক ও সামাজিক মূল্য-

কিছু পশুসম্পদ বৈশিষ্ট্যের সাংস্কৃতিক তাৎপর্য রয়েছে এবং সামাজিক প্রথাকে প্রভাবিত করে। উদাহরণ স্বরূপ, ঐতিহ্যগত অনুষ্ঠানের জন্য বা সামাজিক মর্যাদার প্রতীক হিসেবে নির্দিষ্ট জাত পছন্দ করা হয় যা গবাদি পশুর প্রজনন এবং ব্যবস্থাপনাকে প্রভাবিত করে।

0 টি ভোট
দুধের ভেজাল সনাক্ত করার পদ্ধতি লিখ?

জনসাধারণের দ্বারা খাওয়া দুগ্ধজাত পণ্যের নিরাপত্তা এবং গুণমান নিশ্চিত করার জন্য দুধে ভেজাল সনাক্ত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দুধে বিভিন্ন ধরনের ভেজাল সনাক্ত করতে বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। এখানে কিছু সাধারণ সনাক্তকরণ পদ্ধতি রয়েছে-

দুধের ভেজাল চেনার উপায় -

  • বিকারক পরীক্ষা-

দুধে হাইড্রোজেন পারক্সাইড (H2O2) যোগ করলে ইউরিয়া বা অন্যান্য নাইট্রোজেনাস যৌগের উপস্থিতি নির্দেশ করতে পারে। একইভাবে, মিথিলিন ব্লু যোগ করলে ফরমালিনের উপস্থিতি শনাক্ত করা যায়, যা দুধের শেলফ লাইফ বাড়ানোর জন্য ব্যবহৃত একটি সাধারণ সংরক্ষণকারী।

  • টেস্ট কিট-

বাণিজ্যিকভাবে উপলব্ধ টেস্ট কিটগুলিতে রাসায়নিক বিকারক বা টেস্ট স্ট্রিপ থাকে যা দুধে নির্দিষ্ট ভেজাল সনাক্ত করতে পারে। এই কিটগুলি ব্যবহার করা সহজ এবং দ্রুত ফলাফল প্রদান করে।

  • সংবেদনশীল বিশ্লেষণ-

প্রশিক্ষিত প্যানেলিস্ট বা ভোক্তাদের দ্বারা সংবেদনশীল মূল্যায়ন দুধের স্বাদ, গন্ধ, রঙ বা টেক্সচারের পরিবর্তন সনাক্ত করতে ব্যবহার করা যেতে পারে, যা ভেজাল বা নষ্ট হওয়ার ইঙ্গিত দিতে পারে।

  • অর্গণোলেপটিক পরীক্ষা-

চোখে দেখে দুধের পরীক্ষা করা। এর মাধ্যমে দুধের রং, গন্ধ কিংবা দুধে কোন অবাঞ্ছিত বস্তু আছে কিনা তা নির্ণয় করা যায়।

  • লেক্টোমিটার রিডিং-

 লেক্টোমিটার রিডিং এর মাধ্যমে দুধে যদি কোন ভেজাল দ্রব্য মেশানো থাকে তাহলে তা নির্নয় করা যায়। এছাড়া দুধ চর্বি মুক্ত করা কি না তাও এ টেস্টের মাধ্যমে বোঝা যায়।

  • রিজাজুরিন টেস্ট-

দুধে কি পরিমাণ ব্যাক্টেরিয়া আছে তা এ পরীক্ষার মাধ্যমে নির্ণয় করা যায়।

  • বাটার ফ্যাট টেস্ট-

 বাটার ফ্যাট টেস্ট দ্বারা দুধের চর্বি নির্ণয় করা হয়। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ এর উপর ভিত্তি করে দুধের মূল্য পরিশোধ করা হয়। যে দুধের ফ্যাট যত বেশি তার মূল্য তত বেশি।

0 টি ভোট
এপিডেমিওলজি এর ব্যবহারিক ক্ষেত্রসমূহ কি কি?
  • রোগের উৎস শনাক্তকরণে।
  • রোগের ঝুঁকির কারণ নির্ণয়।
  • রোগের বিস্তারের ধরণ।
  • রোগের প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ
  • মহামারি নিয়ন্ত্রণ
  • স্বাস্থ্য পরিষেবা উন্নয়ন।
  • চিকিৎসা ও গবেষণা
  • ডিজিজ সার্ভেইলেইন্স বা রেগুলার মনিটরিং
  • ভ্যাকসিন উন্নয়ন।
  • এন্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স।
0 টি ভোট
কিভাবে টি-শার্ট ডিজাইন করে?

বর্তমানে আমাদের অনেকের শখ হয়ে থাকে যে আমরা ব্যান্ড মিউজিক এর অথবা যেকোনো নতুন ডিজাইনের টি-শার্ট কিনবো বা নিজের কাছে জমিয়ে রাখবো।সেটা হতে পারে শিরোনাম বা আফটার ম্যাথ বাংলা কিংবা অ্যাসেস এর।তো আমরা কয়েক জন বন্ধু মিলে কোনো জায়গায় বেড়াতে গেলে সেখানে গিয়েও সবাই এক ডিজাইনের শার্ট কিংবা টি-শার্ট পড়তে ইচ্ছা প্রকাশ করি।

  • T-shirt ডিজাইন করার উপায়

তাই এই হুটহাট সময়ে ইউনিক টি-শার্ট বাংলায় যাকে গ্রামের শহর গেঞ্জি বলে সেটা পাওয়ার জন্য একজন ডিজাইনারের কাছে আমাদের যেতে হয়।এখন আপনি যদি একজন দক্ষ ডিজাইনার হয়ে থাকেন তাহলে অতি সহজেই এই কাজটা সম্পন্ন করতে পারবেন।আর এতে করে আপনারাও বাড়তি অর্থ কম খরচ হবে।সেই টাকা দিয়ে খাবারের বিল কিংবা ভালো জায়গা ভ্রমণ করে আসতে পারবেন।এছাড়া আপনি নিজেই বিভিন্ন স্টাইলের গেঞ্জি ডিজাইন করে প্রফেশনাল ডিজাইনারদের মতো একটা শপ খুলে ভালো টাকা আয়ও করতে পারবেন।আর এটাতে মূলত সুবিধা হলো এখানে ইনভেস্ট বা পুঁজি কম থাকলেও তেমন কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়।এডোবি নামক এ্যাপ বা এমন ইলাস্ট্রেটর এ্যাপগুলার কিছু কাজ আয়ত্তে আনতে পারলেই আপনি ফোনে বা ল্যাপটপে ঘরে বসেই সহজে এই ডিজাইনার হয়ে উঠবেন।আর এসব কাজ শিখার জন্য টাকা দিয়ে তেমন কোনো কোর্স না করলেও চলবে।ইউটিউব বা গুগলের সহায়তা নিয়ে অনেক ভিডিও অথবা তথ্য দিয়ে ডিজাইনার হতে পারবেন।

তাই আজকের এই আর্টিকেলে টি-শার্ট ডিজাইন সম্পর্কে কিছু খুটিনাটি বিষয় তুলে আনার চেষ্টা করবো।জানি না আপনাদের মন কতটুকু জয় করতে পারবো।

0 টি ভোট
অন্তঃপরজীব দ্বারা সৃষ্ট রোগ গুলো নিয়ন্ত্রণে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা সম্পর্কে লিখ?
  1. বাছুরকে জন্মের ৭-১৪ দিনের মধ্যে প্রথম কৃমিনাশক ঔষধ খাওয়াতে হবে। প্রথম মাত্রা খাওয়ানোর পর দুই সপ্তাহ পর ২য় মাত্রায় কৃমিনাশক ঔষধ প্রয়োগ করতে হবে।
  2. পরজীবী প্রতিরোধী ভেড়া বা ছাগলের নির্বাচিত প্রজননের মাধমে প্রতিরোধী জাত প্রবর্তন করা।
  3. স্বাস্থ্যসম্মত বিধিব্যবস্থা মেনে চলতে হবে। নিয়মিত কৃমিনাশক ঔষধ সেবন করাতে হবে।
  4. স্যাঁতস্যাতে এলাকায় বা সকালে সম্ভাব্য এলাকায় বিচরণ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
  5. প্রাণির দেহে ক্ষতস্থান থাকলে সেখানে যেন কোনোভাবে মাছি না পড়ে তা খেয়াল রাখতে হবে। এ উদ্দেশ্যে ক্ষত স্থান পলিথিন বা কাপড় ঢেকে দেওয়া উত্তম।
  6. কীটনাশক পদার্থ বা মাছি তাড়ানোর ওষুধ ব্যবহার করা যায়। এ ক্ষেত্রে তারপিন তেল ক্ষতে প্রয়োগ করা যায়।
  7. মানুষের মল যাতে পশু খেতে না পারে সেজন্য সুনির্দিষ্ট পায়খানায় মল ত্যাগ করা বাঞ্চনীয়।
  8. জনসাধারণকে স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন করা।
  9. বাধ্যতামূলকভাবে শূকরের মাংসের ইন্সপেকশন করা প্রয়োজন।
  10. কাচা বা অর্ধসিদ্ধ মাংস না খাওয়া।
  11. প্রধান পোষক যাতে সিস্ট আক্রান্ত মাংস খেতে না পারে সে ব্যবস্থা গ্রহণ করে সংক্রমণ প্রতিরোধ করা।
  12. খুব সকালে বা বিকালে প্রাণিকে চারণ না করানো।
  13. নিয়মিত কৃমিনাশক ওষুধ খাওয়াতে হবে।
  14. প্রাণির থাকার জায়গা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও শুষ্ক রাখা।
  15. পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন খাদ্য প্রদান করা।
0 টি ভোট
পুরুষের কোথায় তিল থাকলে কি হয়?

কপালের ডানে বা মাঝে তিল থাকা মানে আপনার সম্পদের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।তবে এজন্য আপনাকে আশা করে বসে না থেকে সময় ও শ্রম দিয়ে সঠিক কাজগুলা করতে হবে।

নিজের বউ হিসেবে বুদ্ধিমতী রমণীকে তখনই পেতে পারেন যখন আপনার বুকের মাঝে তিল থাকতে পারে।

আর হাঁটুতে তিল থাকলে আপনার দাম্পত্য জীবন ভালো কাটবে তবে মাঝে মধ্যে ঝগড়া বিবাদ হতেও পারে।কিন্তু দুজনের মধ্যে ভালোবাসার কমতি দেখা যাবে।

উপরের সকল তথ্য- বিভিন্ন বই ও ইন্টারনেট ঘেঁটে সংগ্রহ করা হয়েছে।তাই কেনো প্রকার ভুল হলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ।

প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করে যাত্রা শুরু করুন ।

96 টি প্রশ্ন

95 টি উত্তর

0 টি মন্তব্য

2 জন সদস্য

Questionbd❓ এ সুস্বাগতম, যেখানে আপনি প্রশ্ন করতে পারবেন এবং গোষ্ঠীর অন্যান্য সদস্যদের নিকট থেকে উত্তর পেতে পারবেন।
...