নেমাটোডস বা রাউন্ড ওয়ার্ম নির্দিষ্ট প্রজাতির উপর ভিত্তি করে কতিপয় উপায়ে সংক্রমিত হতে পারে।নিচে নেমাটোডস এর সংক্রমিত হওয়ার পদ্ধতিসমূহ আলোচনা করা হলো-
- ১. দূষিত মাটি বা মলের সরাসরি সংস্পর্শে-
ইনজেশনঃ দূষিত মাটি ও মলের সংস্পর্শে প্রাণির দেহে নেমাটোড এর ডিম বা লার্ভা প্রবেশ করতে পারে। এটি হলো হুকওয়ার্ম, রাউন্ডওয়ার্ম, হুইপওয়ার্ম এর সাধারণ সংক্রমন পদ্ধতি।
ত্বক বিদারণঃ কিছু নেমাটোড, যেমন- হুকওয়ার্ম, ত্বক বিদারণের মাধ্যমে দেহে সংক্রমিত হয়।
- ২. ইন্টারমিডিয়েট হোস্ট এর মাধ্যমে-
আর্থ্রোপড বাহকের মাধ্যমেঃ অনেক নেমাটোডস, যেমন- ফিলারিয়াল ওয়ার্মস এর জীবনচক্র সম্পন্ন করতে ইন্টারমিডিয়েট হোস্ট যেমন- মশার প্রয়োজন হয়। গোলকৃমির লার্ভা ইন্টারমিডিয়েট হোস্টে ডেভেলপড হয় ও পরবর্তীতে এই হোস্ট অর্থাৎ মশার কামড়ের মাধ্যমে প্রাণিতে গোলকৃমি সংক্রমিত হয়।
অন্যান্য প্রাণিঃ কিছু নেমাটোড অন্যান্য প্রাণিদেরকেও ইন্টারমিডিয়েট হোস্ট হিসেবে ব্যবহার করে।
- ৩. দূষিত পানি-
ইনজেশনঃ পশু প্রায়শ গোলকৃমির ডিম বা লার্ভাযুক্ত দূষিত পানি পান করার মাধ্যমে সংক্রমিত হতে পারে। দূষিত পানি পান করার মাধ্যমে পশু সাধারণত ফুসফুস ও কিডনির কৃমি দ্বারা আক্রান্ত হয়।
- ৪. মাংসের মাধ্যমে-
মাংসাশী প্রাণি যেমন- কুকুর, শিয়াল ইত্যাদি নেমাটোডে আক্রান্ত প্রাণির আক্রান্ত টিস্যু ভক্ষণ করলে নেমাটোড সংক্রমিত হতে পারে।
- ৫. বাতাসের মাধ্যমে-
বাতাসের মাধ্যমেও গোলকৃমি সংক্রমিত হতে পারে। যেমন- মানুষ ও ঘোড়ার পিনওয়ার্ম এর ডিম।
- ৬. জন্মপূর্ব সংক্রমন-
গর্ভফুল ও উলানের মাধ্যমে সংক্রমিত হয়। যেমনঃ হুকওয়ার্ম, টক্সোকেরা ভিটুলোরাম