যেসকল কৃমি প্রাণির পাকস্থলিতে বসবাস করে এবং শরীরের বিভিন্ন ক্ষতি করে তাদেরকে স্টোমাক ওয়ার্ম বা পাকস্থলির কৃমি বলা হয়। হেমোনকাস প্রজাতিভুক্ত কৃমিগুলোকে স্টোমাক ওয়ার্ম বলা হয়। এই প্রজাতির কৃমি রক্ত খাদক, সাদা ডিম্বাশয় রক্তে ভরা লাল অস্ত্রের চারপাশে কয়েলযুক্ত থাকে। প্রাপ্ত বয়স্ক স্ত্রী কৃমির লাল ও সাদা রং এর সমন্বয়ের জন্য "বারবার পোল ওয়ার্ম নামে পরিচিত। বাংলাদেশ সহ বিশ্বের প্রায় সবদেশেই রোমন্থক পশুতে এই কৃমির সংক্রমণ ঘটে। এর প্রধান চারটি প্রজাতি হলো: H. contortus, H. placei, H. similis, H. longistipe.
নিচে এই ধরনের কৃমির ক্ষতিকর প্রভাব উল্লেখ করা হলো-
- পোষকের দেহ থেকে রক্ত শোষণ করে।
- রক্ত শোষণ করার ফলে হেমোরেজিক অ্যানিমিয়া সৃষ্টি হয়।
- রক্তাল্পতায় রক্তের প্রোটিন হ্রাসের ফলে হাইপোপ্রোটিনিমিয়া হয়।
- রক্তের প্রোটিন হ্রাসের কারণে সাব ম্যান্ডিবুলার এডিমা বা বোটল জ্ব দেখা দেয়।
- অ্যাবোমেজামের গ্রন্থিতে মাইগ্রেশন ও পূর্ণবয়স্ক কৃমি অ্যাবোমেজাম ছিদ্র করার ফলে অ্যাবোম্যাজাইটিস সৃষ্টি হয়।
- অ্যাবোমেজামের প্রদাহের কারণে খাদ্যে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস হজম ও শোষণে ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়।
- দেহে প্রোটিন ও লৌহ বা আয়রন হ্রাসের কারণে দৈহিক ওজন কমে যায়।
- প্রাণীর সবধরনের উৎপাদন কমে যায়।
- খাদ্য গ্রহণে অনীহা দেখা দেয়।