0 টি ভোট
ইন্টারঅ্যাকটিভিটি বলতে কি বুঝায়?

ইন্টারঅ্যাকটিভিটি বলতে শুধুমাত্র ডকুমেন্ট বা ভিডিয়ো ফাইলে ইফেক্ট বা এনিমেশন যোগ করাকে বুঝায় না। ফ্লাশ, ডিরেক্টর বা অথরওয়‍্যারের মতো শক্তিশালী অথরিং সফটওয়্যার দিয়ে তৈরি ব্যবহারকারীর সাথে কম্পিউটারের মিথস্ক্রিয়া সম্ভব এমন কিছুকেই আমরা ইন্টারঅ্যাকটিভিটি বলি।

0 টি ভোট
বাংলাদেশে তৈরি কিছু মাল্টিমিডিয়া সফটওয়্যারের নাম লিখ?
বাংলাদেশে মাল্টিমিডিয়া সফটওয়্যার প্রস্তুত হওয়া কেবল। শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যেই দেশে তৈরি কিছু মাল্টিমিডিয়া সফটওয়‍্যার হলো বাংলাদেশ-৭১, অবসর, বিশ্বকোষ, নামাজ শিক্ষা, বিজয় শিশু শিক্ষা ইত্যাদি।
0 টি ভোট
বিনোদন ক্ষেত্রে মাল্টিমিডিয়ার ব্যবহার লেখ?

সিনেমা বা নাটকের ক্ষেত্রে মাল্টিমিডিয়ার বিনোদনের অধিকাংশ এলাকা জুড়ে রয়েছে।মাল্টিমিডিয়া নিয়ন্ত্রণ সাহায্যে স্পেশাল ইফেক্ট ব্যবহার করে তা আরও প্রাণবন্ত করা হচ্ছে।ফলে আমরা এমন অনেক কিছুই টেলিভিশনের পর্দায় দেখতে পাচ্ছি যা বাস্তবে অসম্ভব।

0 টি ভোট
মাল্টিমিডিয়া হলো মানুষের বিভিন্ন প্রকাশ মাধ্যমের সমন্বয়- ব্যাখ্যা করো?
আমরা অন্তত তিনটি মাধ্যম বা মিডিয়া ব্যবহার করে নিজেদেরকে প্রকাশ করি সেগুলো হলো বর্ণ, চিত্র এবং শব্দ (সাউন্ড)। এই মাধ্যমগুলোর বিভিন্ন রূপও রয়েছে। এই তিনটি মাধ্যম তাদের বিভিন্ন রূপ নিয়ে কখনো একসাথে আমাদের সামনে আবির্ভূত হয়। তখনই একে মাল্টিমিডিয়া বলা হয়। অর্থাৎ মাল্টিমিডিয়া হলো মানুষের বিভিন্ন প্রকাশ মাধ্যমের সমন্বয়।
0 টি ভোট
ভিডিও গেমস একটি ইন্টারেক্টিভ মাল্টিমিডিয়া ব্যাখ্যা করো?
ভিডিও গেমসে একাধিক ধরনের মিডিয়া যেমন চিজুয়াল, অডিয়ো এবং শব্দ একত্রিত হয়। খেলোয়াড়রা ভিডিয়ো গেমের মধ্যে সরাসরি অংশগ্রহণ করে এবং গেমের পরিবেশের সাথে যোগাযোগ করে। গেমের চরিত্রকে করে এবং ঘটনাপ্রবাহকে প্রভাবিত করে। এই মিথস্ক্রিয়া এবং বিভিন্ন ধরনের মিডিয়ার সমন্বয়ের কারণেই ভিডিও গেমসকে ইন্টারেক্টিভ মাল্টিমিডিয়া বলা হয়।
0 টি ভোট
রেডিওকে মাল্টিমিডিয়া বলা যায় না কেন?

রেডিওকে মাল্টিমিডিয়া বলা হয় না কারণ, মাল্টিমিডিয়া বলতে বোঝায় এমন একটি মাধ্যম যেখানে একাধিক ধরনের তথ্য, যেমন পাঠ্য, ছবি, ভিডিয়ো, অডিয়ো ইত্যাদি একত্রে উপস্থাপন করা হয়। রেডিওতে শুধুমাত্র অডিয়ো বা শব্দই ব্যবহৃত হয়। এতে কোনো ভিজুয়াল উপাদান যেমন ছবি বা। ভিডিয়ো থাকে না। তাই রেডিও একক মাধ্যম হিসেবে বিবেচিত হয়, এবং একে মাল্টিমিডিয়া বলা যায় না।

0 টি ভোট
পুরুষের কোথায় তিল থাকলে কি হয়?

কপালের ডানে বা মাঝে তিল থাকা মানে আপনার সম্পদের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।তবে এজন্য আপনাকে আশা করে বসে না থেকে সময় ও শ্রম দিয়ে সঠিক কাজগুলা করতে হবে।

নিজের বউ হিসেবে বুদ্ধিমতী রমণীকে তখনই পেতে পারেন যখন আপনার বুকের মাঝে তিল থাকতে পারে।

আর হাঁটুতে তিল থাকলে আপনার দাম্পত্য জীবন ভালো কাটবে তবে মাঝে মধ্যে ঝগড়া বিবাদ হতেও পারে।কিন্তু দুজনের মধ্যে ভালোবাসার কমতি দেখা যাবে।

উপরের সকল তথ্য- বিভিন্ন বই ও ইন্টারনেট ঘেঁটে সংগ্রহ করা হয়েছে।তাই কেনো প্রকার ভুল হলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ।

0 টি ভোট
স্মার্ট মার্কেটিং কাকে বলে?

আধুনিক পদ্ধতিতে সকল প্রকার সুযোগ-সুবিধা ব্যবহারের মাধ্যমে স্বল্প সময়ে অধিক কার্যকরী ব্যবসায়িক কৌশলকে স্মার্ট মার্কেটিং বলে।

0 টি ভোট
বাজারজাতকরণ নৈতিকতা কি?
বিপনন নৈতিকতা হলো সেই নীতিমালা যা বিপনন কার্যক্রমের সাথে জড়িত ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানের আচরণকে পরিচালিত করে।যেমন- বিক্রেতা বা বাজারজাতকারীর বিশ্বস্ততা।
0 টি ভোট
মার্কেটিং এর কার্যাবলি লিখ?

বিপণনের কার্যাবলী (Functions of Marketing) হলো সেই সমস্ত কার্যক্রম বা পদক্ষেপ যা একটি প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্য পূরণের জন্য গ্রাহকদের চাহিদা পূরণের দিকে মনোনিবেশ করে।এটি গ্রাহকদের কাছে পণ্য বা সেবা পৌঁছানোর জন্য এবং ব্যবসায়িক লক্ষ্য অর্জন করার জন্য বিভিন্ন কৌশল এবং প্রক্রিয়া ব্যবহৃত হয়। বিপণনের প্রধান কার্যাবলী নিম্নরূপ-

ক। পণ্য পরিকল্পনা ও উন্নয়ন-

এই কার্যাবলী গ্রাহকের চাহিদা এবং বাজারের চাহিদার ভিত্তিতে নতুন পণ্য তৈরি করা বা বিদ্যমান পণ্যের মান উন্নত করা। একটি প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য হল এমন পণ্য তৈরি করা যা গ্রাহকদের প্রয়োজন পুরণ করে এবং বাজারে প্রতিযোগিতার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ।

খ। মূল্য নির্ধারণ-

পণ্যের জন্য সঠিক মূল্য নির্ধারণ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিপণন কার্যাবলী। এই কার্যক্রমে বাজারের প্রতিযোগিতা, উৎপাদন খরচ, গ্রাহকের গ্রহণযোগ্যতা এবং কোম্পানির লাভের লক্ষ্য বিবেচনা করা হয়। সঠিক মূল্য নির্ধারণ ব্যবসায়ের লাভজনকতা এবং গ্রাহকদের সন্তুষ্টির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

গ। প্রচার-

প্রচার কার্যাবলীর মাধ্যমে পণ্য বা সেবার সম্পর্কে গ্রাহকদের জানানো হয় এবং তাদের মধ্যে আগ্রহ সৃষ্টি করা হয়। এটি বিজ্ঞাপন, বিক্রয় প্রচারণা, ইভেন্ট, জনসংযোগ, সোশ্যাল মিডিয়া প্রচারণা এবং অন্যান্য উপায়ে হতে পারে। এর উদ্দেশ্য পণ্যের পরিচিতি বৃদ্ধি এবং বিক্রি বৃদ্ধি করা।

ঘ। বিতরণ-

এই কার্যাবলীতে পণ্য বা সেবা গ্রাহকের কাছে সঠিক সময়ে এবং সঠিক স্থানে পৌছানোর জন্য কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। এটি সরবরাহ চেইন, পরিবহন, পাইকারি বা খুচরা বিক্রেতাদের মাধ্যমে পণ্য পৌছানোর প্রক্রিয়া নিয়ে কাজ করে।

0 টি ভোট
ডিজিটাল মার্কেটিং কাকে বলে?

ডিজিটাল মাধ্যম, টেকনোলজি ও প্লাটফর্ম ব্যববহারের মাধ্যমে ভোক্তার সাথে সংয়োগ স্থাপন করে বাজারজাতকরণের কৌশলকে ডিজিটাল মার্কেটিং বলে।

0 টি ভোট
সমাজকর্ম কি? সমাজকর্মের পরিধি/পরিসর আলোচনা করো?

ভূমিকা- সমাজকর্ম হলো একটি সাহায্যকারী পেশা এবং সমস্যা সমাধানের বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়া। প্রাচীনকাল থেকেই স্বেচ্ছামূলক বা অপেশাদার সমাজকল্যাণ সমাজের মানুষের প্রয়োজন এবং বিভিন্ন সমস্যার সমাধান দিয়ে আসছিল। কিন্তু আধুনিক যুগের শিল্পায়ন ও শহরায়নের ফলে উদ্ভূত নতুন ও জটিল সমস্যাসমূহের সমাধান যখন গতানুগতিক সমাজকল্যাণ দ্বারা মোকাবিলা করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে, তখন বস্তুত নতুন এবং জটিল সমস্যার বিজ্ঞান সম্মত সমাধানের লক্ষ্যেই সমাজকর্মের অভ্যুদয়।

  • সমাজকর্মের সংজ্ঞা-

সমাজকর্ম হচ্ছে আধুনিক সমাজকল্যাণের বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতি বা কৌশলগত দিক।সমাজকর্ম বলতে সাধারণত বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে সমাজের কল্যাণ সাধনের প্রক্রিয়াকে বুঝায়। অন্যভাবে বলা যায়, ব্যক্তি, দল ও সমষ্টির সমস্যা সমাধানের জন্য সমাজকর্মীরা যে পদ্ধতি বা কৌশলের মাধ্যমে সমাজকর্ম বিষয়ক জ্ঞান, দক্ষতা ও নীতি বাস্তব ক্ষেত্রে প্রয়োগ করে থাকে, তাকে সমাজকর্ম বলে। আধুনিক যুগের শিল্পায়ন ও শহরায়নের ফলে উদ্ভূত নতুন ও জটিল সমস্যার বিজ্ঞানসম্মত সমাধানের লক্ষ্যেই সমাজকর্মের অভ্যুদয়।

প্রামাণ্য সংজ্ঞা- নিম্নে সমাজকর্মের কিছু জনপ্রিয় সংজ্ঞা তুলে ধরা হলো:-

Rex A Skidmore and Milton G Thackery বলেন, "সমাজকর্ম এমন একটি কলাবিজ্ঞান ও পেশা যা মানুষকে কতকগুলো বিশেষ পদ্ধতির মাধ্যমে ব্যক্তিগত, দলীয় ও সমষ্টিগত্র সমস্যা সমাধানে সাহায্য করে। যাতে তারা সন্তোষজনক ব্যক্তিগত, দলীয় ও সামাজিক সম্পর্ক লাভে সক্ষম হয়।"

আর. এইচ. কার্টজ-এর মতে, "সমাজকর্ম হলো এমন একটি পেশাগত সেবা যা সমাজের সদস্য হিসেবে জনগণকে ব্যক্তিগত ও দলীয়ভাবে সহায়তার জন্য বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়া ব্যবহার করে। যাতে তারা সমষ্টির সাথে সঙ্গতি রেখে নিজেদের ইচ্ছা ও সামর্থ্য অনুসারে বাঞ্চিত সামাজিক সম্পর্ক ও উন্নতি লাভে সাহায্য করে।"

ওয়ার্নার এইচ বোয়েম-এর মতে, "সমাজকর্ম এমন একটি বৈজ্ঞানিক কার্যক্রম যা মানুষ এবং তার পরিবেশের পারস্পরিক ক্রিয়া প্রতিক্রিয়া থেকে সৃষ্ট সামাজিক সম্পর্ক ও কার্যাবলি নিয়ন্ত্রণ এবং পরিচালনার মাধ্যমে সামাজিক ভূমিকা পালন ক্ষমতার উন্নয়নে মানুষকে একক ও দলীয়ভাবে সাহায্য করে।"

W. A. Friedlander-এর মতে, "সমাজকর্ম হলো বৈজ্ঞানিক জ্ঞান এবং মানবিক সম্পর্ক বিষয়ক দক্ষতাসম্পন্ন এমন একটি পেশাদারি সেবাকর্ম, যা ব্যক্তিগত ও সামাজিক সন্তুষ্টি এবং স্বাধীনতা লাভে কোনো ব্যক্তিকে একক অথবা দলীয়ভাবে সাহায্য করে।"

করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ড. আকিলা কিয়ানী-এর মতে, "আধুনিক অর্থে সমাজকর্মকে সাধারণত একটি সাহায্যকারী পেশা হিসেবে গ্রহণ করা হয়, যা ব্যক্তি বা গোষ্ঠীকে তাদের বিকাশ ও উন্নয়নে সাহায্য করে।"

  • আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় সমাজকর্ম সমিতির সংজ্ঞানুসারে,

"সমাজকর্ম হচ্ছে ব্যক্তি, দল বা জনসমষ্টিকে সাহায্য করার এমন এক পেশাগত কার্যক্রম, যার লক্ষ্য তাদের সামাজিক ভূমিকা পালন ক্ষমতার পুনরুদ্ধার বা শক্তিশালীকরণ এবং সামাজিক ভূমিকা পালনের অনুকূল সামাজিক পরিবেশ সৃষ্টি করা।"

ভারতীয় সমাজকর্ম সম্মেলনের সংজ্ঞানুসারে, "সমাজকর্ম বলতে ব্যক্তি, দল ও জনসমষ্টিকে সুখ ও সমৃদ্ধিপূর্ণ জীবন লাভে সহায়ক মানবীয় দর্শন, বৈজ্ঞানিক জ্ঞান ও দক্ষতার উপর প্রতিষ্ঠিত কল্যাণমূলক কার্যাবলিকে বুঝায়।"

  • সমাজকর্মের অভিধানের সংজ্ঞানুযায়ী,

"সমাজকর্ম একটি ব্যবহারিক বিজ্ঞান, যা মানুষকে একটি মনোসামাজিক ভূমিকা পালনে একটা কার্যকর পর্যায়ে উপনীত হতে শক্তিশালীকরণের লক্ষ্যে সামাজিক পরিবর্তন আনয়নকে প্রভাবিত করে।"

সমাজকর্মের পরিধি/ক্ষেত্রসমূহ/বিষয়বস্তু: নিম্নে সমাজকর্মের পরিধি/ক্ষেত্রসমূহ/বিষয়বস্তু আলোচনা করা হলো-

১. মৌল মানবিক চাহিদা পূরণ- পেশাদার সমাজকর্মের অন্যতম পরিধি বা বিষয়বস্তু হলো মানুষের মৌল মানবিক চাহিদা পূরণ করা। কারণ মৌল মানবিক চাহিদা অপূরণজনিত কারণেই সমাজে নানা রকম সমস্যার উদ্ভব হয়।

২. স্বাস্থ্যসেবা: পরিবারে উপার্জনশীল ব্যক্তির শারীরিক অসুস্থতার কারণে পরিবারের নির্ভরশীল ব্যক্তিরা মারাত্মক, সমস্যায় পড়ে। এমনটি তারা নানা ধরনের অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়ে। এসব অসামাজিক কার্যকলাপ হতে সমাজকে রক্ষা করার জন্য সমাজকর্ম স্বাস্থ্য সেবাকে তার পরিধিভুক্ত করেছে।

৩. সমাজবদ্ধ মানুষ- আধুনিক সমাজকর্মের প্রধান পরিধি বা বিষয়বস্তু হলো সমাজবদ্ধ মানুষ। কেননা সমাজকর্ম সমাজবদ্ধ মানুষের কল্যাণের জন্যই কাজ করে। একারণে কোনো সমাজের সমস্যাবলি জানতে হলে ঐ সমাজের মানুষ ও তাদের চাহিদা সম্পর্কে জ্ঞান আহরণ করতে হয়।

৪. গ্রামীণ ও শহর সমাজসেবা: আধুনিক সমাজকর্মের একটি অন্যতম পরিধি হলো গ্রামীণ ও শহর সমাজ সেবা। কেননা গ্রামে যেমন নানা রকমের সমস্যা রয়েছে, তেমনি শহরেও রয়েছে নানা রকমের সমস্যা। তবে গ্রামীণ ও শহরের সমস্যার স্বরূপ ভিন্ন। কিন্তু সমাজকর্ম গ্রাম ও শহরের জন্য আলাদা আলাদাভাবে গ্রামীণ সমাজ সেবা ও শহরে সমাজসেবা গড়ে ওঠে।

৫. আর্থসামাজিক উন্নয়ন: আর্থসামাজিক উন্নয়ন হলো আধুনিক সমাজকর্মের অন্যতম পরিধি বা বিষয়বস্তু। কেননা প্রতিটি বিষয় বিশ্লেষণ করলে এর পেছনে দায়ী কারণসমূহের মধ্যে সামাজিক ও অর্থনৈতিক কারণ অবশ্যই থাকবে। একারণে সমাজের সঠিক কল্যাণ সাধনের জন্য অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন সাধন করতে হবে।

৬. শারীরিক প্রতিবন্ধী কল্যাণ কর্মসূচি: সমাজকর্মের একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিধি হলো শারীরিক প্রতিবন্ধী কল্যাণ কর্মসূচি। আধুনিক সমাজকর্মের অন্ধ, মুক, বধির এবং অন্যান্য দৈহিক প্রতিবন্ধীদের কল্যাণে বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি পরিচালনা করে।

৭. সমাজকল্যাণ কর্মসূচি: সমাজকর্মের একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিধি হলো, সমাজকল্যাণ কর্মসূচি। কেননা সমাজের মানুষের সামগ্রিক কল্যাণ সাধনের জন্য সমাজকর্ম সামাজিক নীতি ও পরিকল্পনার মাধ্যমে কিছু কিছু কল্যাণমূলক কর্মসূচি গ্রহণ করে থাকে। যেমন-শিশুকল্যাণ, প্রবীণ কল্যাণ, নারী কল্যাণ, যুবকল্যাণ প্রভৃতি।

৮. মানব সম্পদের সদ্ব্যবহার: পেশাদার সমাজকর্মের অন্যতম পরিধি হলো মানব সম্পদের সদ্ব্যবহার। সমাজকর্ম বিশ্বাস করে যে, সমাজের প্রতিটি ব্যক্তির মধ্যেই কোনো না কোনো সুপ্ত প্রতিভা বিদ্যমান আছে। যদি তা বিকাশের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করা যায়। তাহলে তা বিকশিত হবে। পেশাদার সমাজকর্ম ও প্রতিভা বিকাশের সুযোগ ও পরিবেশ তৈরি করে।

৯. সামাজিক নীতি ও পরিকল্পনা: পেশাদার সমাজকর্মের অন্যতম পরিধি বা বিষয়বস্তু হলো সামাজিক নীতি ও পরিকল্পনা। কেননা একটি সমাজদেহে বিরাজমান সমস্যার সুষ্ঠু সমাধান করতে প্রয়োজন সুষ্ঠু ও কার্যকর সামাজিক নীতি ও পরিকল্পনা। সমাজকর্মীগণ সমস্যা সম্পর্কে ভালোভাবে অবগত হয়ে সামাজিক নীতি ও পরিকল্পনা প্রণয়নে সহায়তা করে থাকে।

১০. সমাজ সংস্কার ও সামাজিক আইন: প্রতিটি মানব সমাজেই নানা ধরনের কুসংস্কার ও কুপ্রথা প্রচলিত থাকে। আর এসমস্ত কুসংস্কারের কারণে অনেক সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। এ কারণে এসমস্ত মোকাবিলা করা দরকার। আর কুসংস্কার দূর করার জন্য প্রয়োজন সামাজিক আইন। সুতরাং সামাজিক আইন প্রণয়ন করা সমাজকর্মের পরিধিভুক্ত।

১১. মাদকাসক্তি নিরাময়: মাদকাসক্তি নিরাময় হলো পেশাদার সমাজকর্মের পরিধিভুক্ত। প্রতিটি সমাজেরই একটা উল্লেখযোগ্য অংশ মাদকাসক্ত, তারা সমাজ ও পরিবারের নানা রকম সমস্যা তৈরি করে। একারণে এসব মাদকাসক্তদের মাদক গ্রহণ হতে বিরত রেখে সঠিক ও যথোপযুক্ত পুনর্বাসন করা সমাজকর্মের আওতাভুক্ত।

১২. অপরাধ ও কিশোর অপরাধ: পেশাদার সমাজকর্মের একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিধি হলো কিশোর অপরাধ ও অপরাধী সংশোধন। এসমস্ত কিশোর অপরাধ ও অপরাধীদের উপযুক্ত কাউন্সিলের মাধ্যমে সংশোধন করা হয়। অপরাধী ও কিশোর অপরাধীদের সংশোধনমূলক কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে প্রবেশন, প্যারোল, মুক্তিপ্রাপ্ত কয়েদিদের পুনর্বাসন প্রভৃতি।

১৩. সামাজিক সমস্যার প্রতিকার ও প্রতিরোধ: সমাজে বিরাজমান বিভিন্ন সামাজিক সমস্যা যেমন- জনসংখ্যা বৃদ্ধি, বেকারত্ব, ভিক্ষাবৃত্তি, মাদকাসক্তি, পুষ্টিহীনতা ইত্যাদি সমস্যা সমাধান এবং নতুন করে কোনো সমস্যার যাতে উদ্ভব না হয়. তার জন্য সমাজকর্ম কাজ করে। ফলে সমস্যার প্রতিকার ও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গড়ে তোলা সমাজকর্মের পরিধিভুক্ত।

উপসংহার

পরিশেষে বলা যায় যে, শিল্পবিপ্লবোত্তর জটিল সমাজ ব্যবস্থায় উদ্ভূত বহুমুখী আর্থসামাজিক সমস্যা সমাধানের লক্ষ্য নিয়েই পেশাদার সমাজকর্মের উদ্ভব। তাই পেশাদার সমাজকর্মের পরিধি বা বিষয়বস্তু হলো সমাজ থেকে সব রকম সমাধান করে একটি কল্যাণধর্মী সমাজব্যবস্থা বিনির্মাণ করা।

0 টি ভোট
গজনবী বংশের প্রতিষ্ঠাতা কে?
আলপ্তগীনরে জামাতা সবুক্তগীন ছিলেন গজনবী বংশের প্রতিষ্ঠাতা।
0 টি ভোট
জনপদ কাকে বলে?
প্রাচীনকালে সমগ্র ভূখণ্ড ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশবিভক্ত ছিল। বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর নাম অনুসারে এগুলো জনপথ হিসেবে গড়ে ওঠে।
0 টি ভোট
গস্তানি শব্দের অর্থ কি?
প্রাচীন বাংলার শব্দ গস্তানি দ্বারা ঐ সকল মেয়েকে বুঝাতো, যারা পুরুষ এর জন্য রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতো।

"Sharif" র কার্যক্রম

স্কোরঃ
5,760 পয়েন্ট (র‌্যাংক # 1 )
প্রশ্নঃ
95
উত্তরঃ
94
মন্তব্যসমূহঃ
0
ভোট দিয়েছেনঃ
0 টি প্রশ্ন, 0 টি উত্তর
দান করেছেন:
0 সম্মত ভোট, 0 অসম্মত ভোট
প্রাপ্তঃ
0 সম্মত ভোট, 0 অসম্মত ভোট
...